রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
কোহিনুর প্রীতি, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : “মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে” গ্রামীণ এমন প্রবাদ এখন আর কাউকে বলতে শোনা যায়না। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রবাদটিরও পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে এখন আর ওইভাবে শীত জেঁকে বসে না এ অঞ্চলে। ফলে পৌষ ও মাঘের শীত তেমন উপভোগ করতে পারেনি এ অঞ্চলের মানুষ।
এক সময় লাকসাম রেলওয়ে জংশন গোল চত্তরে পুরাতন দেশি বিদেশী শীতের কাপড়ের পসরা নিয়ে বসতো দোকানীরা। পড়তো বেচাকেনার ধূম। দোকান বসতে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু বেচাকেনা না থাকায় আগের মতো জমে উঠেনি পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো।
দোকনীরা জানান, পৌষে এ অঞ্চলে তেমন শীত পড়েনি। মাঘে এসে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে শীত মৌসুম। ফলে এ বছর ভালো ব্যবসা করতে পারেনি তারা। তুলনামূলক ভাবে ক্রেতা ছিল কম। দোকানীরা আরো জনানা, বিগত বছরগুলোতে শীত মৌসুমে ক্রেতাদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়। এবার আর সেই ক্রেতা আশানুরুপ নেই। ফলে অর্থনৈতিক মন্দা বইছে তাদের ব্যবসায়।
মীর হোসেন মিরু নামে এক দোকানী জানান, করোনার প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর তেমন কাজ নেই, রোজগার না থাকায় ওই লোকগুলোর কাছে টাকা নেই। শীতেরও তেমন প্রভাব নেই। ফলে আমাদের ব্যবসাও নেই। এ বছর আশানুরুপ বেচাকেনা নেই আমাদের এখানে। এর মধ্যেও পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।